সেই মাশরাফিতেই যা একটু উদ্ধার কুমিল্লার
আর সব ফ্র্যাঞ্চাইজির মতো তাদেরও প্রথম পছন্দ ছিলেন সাকিব আল হাসানই। লটারির ভাগ্যে হেরে সাকিবকে না পেয়ে কুমিল্লার যে মন খারাপ, সেটা প্লেয়ার্স বাই চয়েসের দিনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এর পর ফ্র্যাঞ্চাইজির এক শীর্ষ কর্মকর্তার মন্তব্য বেশ ঝড় তুলেছিল ফেসবুকে। যে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে কেন্দ্র করে এই আলোচনা, তিনিই আজ উদ্ধার করলেন কুমিল্লাকে। না, বোলার মাশরাফি এখনো কাজ শুরু করেননি। এর আগে তাঁর ব্যাটেই যা একটু রক্ষা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের।
উদ্ধার বলতে অপমান থেকে উদ্ধার আরকি। প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত নাটকের রেশ থাকতে থাকতেই কুমিল্লা যে রীতিমতো ঘুমপাড়ানি ক্রিকেট শুরু করেছিল। স্কোর ৮০-ও পেরোবে কিনা সন্দেহ দেখা দিয়েছিল। এই অবস্থায় মাশরাফির ইনিংস সর্বোচ্চ ২৫ রান সম্ভ্রম বাঁচিয়েছে। আটে নামা মাশরাফি আর নয়ে নামা সান্টোকির ২১-এর বদৌলতেই ৮ উইকেটে ১১০ রানের পুঁজি পায় কুমিল্লা।
কুমার সাঙ্গাকারার ঢাকা ডায়নামাইটসের এই রান হেসে খেলেই পার করার কথা ছিল। সে পথে তারা এগোচ্ছিলও। ১ উইকেটে ৮৪, ২ উইকেটে ৯৮। তারপরও একেবারেই ডালভাত একটা ম্যাচ হলে কেমন হয়, সেই ‘দায়িত্ব’ থেকেই হয়তো ঢাকা ম্যাচটি শেষ ওভারে নিয়ে গেল। জিতল ৬ উইকেট আর ৪ বল হাতে রেখে। নিঃশর্ত এই পরাজয়ের মধ্যেও কুমিল্লার পাওয়া আবু হায়দার নামের এক তরুণ পেসার। শুধু কুমিল্লা নয়, মাত্র ১৭ রানে ২ উইকেট নেওয়া এই ১৯ বছর বয়সী বাংলাদেশরই সম্পদ হওয়ার প্রতিশ্রুতি শোনালেন দারুণ বোলিং করে। অবশ্য সামনে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে তাঁকে।
ঢাকার হয়ে ৪৪ বলে ৪৪ করেছেন নাসির জামশেদ, ৩২-ই এসেছে চার থেকে। সাঙ্গাকারা করেছেন ২৫। শামসুর রহমানের ব্যাট থেকে এসেছে ১৯। বল হাতে দীর্ঘক্ষণ কুমিল্লার একমাত্র সফল বোলারও ছিলেন মাশরাফিই। ১৩ ওভার পর্যন্ত যে ওই একটা উইকেটই তুলতে পেরেছিল কুমিল্লা।
বোলারদের লড়াইয়ে ম্যাচটা তবু এত দূর গড়িয়েছে। ব্যাটিংয়ে কুমিল্লা ছিল একেবারে যাচ্ছেতাই। ইনিংসের মাঝপথে ১০ ওভারে ৫ উইকেটে ৪২-এই ছিল কুমিল্লার দশা। রান রেট ৪.২! যেন টেস্ট খেলছে! প্রথম ৫ ব্যাটসম্যান মিলে জোগান দিয়েছেন মাত্র ২০ রান। ২৬ বলে দুই ছক্কায় মাশরাফির সেই ইনিংসটি, কিংবা অষ্টম উইকেটে ৩৭ বলে ৪৩ রানের জুটিটা না হলে ‘ভিক্টোরিয়ানস’ নামটার প্রতিই সম্মান দেখাতে পারত না কুমিল্লা।
২৯ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন আবুল হাসান। গত বিপিএলে অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড় হওয়া মোশাররফ হোসেন মাত্র ১৫ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে রানের চাকা আটকে রাখতে ভূমিকা রেখেছেন ইয়াসির শাহ। ২৪ রানে ১ উইকেট-বিপিএল অভিষেকটা হয়তো মুস্তাফিজের নিজেরই পছন্দ হয়নি। মাশরাফির দুই ছক্কার সবচেয়ে লম্বাটাও হজম করেছেন মুস্তাফিজই।
Reviewed by Ab Mamun
on
November 22, 2015
Rating:

No comments
আপনার একটি মন্তব্য একজন লেখক/লেখিকা কে ভালো কিছু লিখার অনুপ্ররেনা যোগায় তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত জানাতে ভুলবেন না । তবে ভাই ও বন্ধুরা এমন কোন মন্তব্য পোস্ট করবেন না যার ফলে লেখক/লেখিকার মনে আঘাত করে ! কারণ একটি ভাল মন্তব্য আমাদের কে আরও ভাল কিছু লিখার অনুপ্রেরনা যোগাতে সাহায্য করে থাকে !!
ধন্যবাদ সবাইকে সাথে থাকার জন্য। । ।