আসসালামু আলাইকুম ll টেক মুন্নি এর পক্ষ থে‌কে সবাই‌কে শু‌ভেচ্ছা ও স্বাগতম ll আমাদের সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে এখানে ক্লিক করে যোগাযোগ করুন ll ফেসবুক যখন মুশফিক-তামিমদের যন্ত্রণা!ফেসবুক যখন মুশফিক-তামিমদের যন্ত্রণা! TECH MUNNITECH MUNNI l BD JOBS l BLOGGING l FREELANCING l ADSENSE l YOUTUBE l MOBILE TIPS l

ফেসবুক যখন মুশফিক-তামিমদের যন্ত্রণা!ফেসবুক যখন মুশফিক-তামিমদের যন্ত্রণা!

তারারা এখন আর দূর আকাশের নয়। ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলো তারকা আর ভক্তদের মাঝখানের​ দূরত্ব দূর করেছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তারকার মর্যাদারা যাঁরা পান, সেই মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালদের সঙ্গেও যোগযোগের অনায়াস মাধ্যম ফেসবুক।

মাশরাফি কী করছেন, সাকিবের কন্যা পৃথিবীতে কবে আসছে, সাম্প্রতিক কোনো ইস্যুতে মুশফিক কী ভাবছেন—সবই জানা যাচ্ছে ফেসবুকে। 

মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগসূত্রের দারুণ এক মাধ্যম সন্দেহ নেই। কিন্তু ​যন্ত্রের যন্ত্রণাও আছে। ফেসবুকেরও রয়েছে নেতিবাচক দিক। ফেসবুকে যেমন সম্পর্ক উষ্ণ করছে, আবার এটাই যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তৈরি হচ্ছে নানা জটিলতা। সর্বশেষ যে জটিলতার শিকার হলেন মুশফিক, ফ্রান্সের নৃশংসতার প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে। মুশফিক অবশ্য এর আগেও গত কুরবানির ঈদে আরেক জটিলতায় পড়েছিলেন।

ফেসবুক নিজের মত প্রকাশের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানেই যা খুশি তা বলা নয়। শালীনতা লঙ্ঘন করা নয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে দায়িত্বশীলতার পরিচয়ও। অনেক সময় সেই সীমা ছাড়ানোর ঘটনা ঘটছে।

তামিমের কথাই ধরুন। বিশ্বকাপে যখন রান পাচ্ছিলেন না, বাঁহাতি ওপেনারকে ফেসবুকে রীতিমতো ধুয়ে দেওয়া হলো। খারাপ খেললে সমালোচনা হবে, খুব স্বাভাবিক। কিন্তু তারও তো একটা মাত্রা থাকা উচিত। সমালোচনা, কটূক্তি, ব্যঙ্গাত্মক, শ্লেষাত্মক মন্তব্য তামিমের পরিবারকে পর্যন্ত টেনে আনা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বেশ ভেঙেও পড়েছিলেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে রানে ফিরে জবাব দিয়েছিলেন সব সমালোচনার। সঙ্গে অনুরোধও করেছিলেন, ‘মাঠে খেলি আমি। সমালোচনা করেন আমার খেলা নিয়ে। আমার পরিবার তো কোনো দোষ করেনি!’

মাহমুদউল্লাহর খারাপ ফর্মের সময়ে তাঁর এবং মুশফিকের পারিবারিক সম্পর্ক নিয়ে কদর্য ইঙ্গিত করা হয়েছে বারবার। সেই মাহমুদউল্লাহ বিশ্বকাপে পর পর দুটো সেঞ্চুরি করেছেন ঠিকই।

নাসির হোসেনের অভিজ্ঞতাটাও সুখকর নয়। বাংলাদেশ দলের ‘ফিনিশার’কে নিয়ে ফেসবুকে যা হলো গত জুনে, সত্যি লজ্জাজনক। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষ হওয়ার পরদিন। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ আসন্ন। অনুশীলন শুরু হওয়ার আগে হাতে কিছু সময় পেয়েছিলেন। সেই সময়টা নষ্ট না করে রংপুরে দেশের বাড়িতে একটু ঘুরে আসতে চাইলেন। সঙ্গে ছিল তাঁর বোন।

ছুটির আমেজে বিমানে উঠে বোনের সঙ্গে তুললেন একটা সেলফি। একে তো ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সিরিজ জয়ের আনন্দ, তার ওপর ছুটি। নিজের আনন্দ ভাগ করে নিতে চাইলেন ভক্তকুলের সঙ্গে। ফেসবুকে নিজের ফ্যান পেজে তুলে দিলেন সেই ছবি। হু হু করে পড়তে লাগল ‘লাইক’। ভক্তরা করতে লাগলেন বিভিন্ন মন্তব্য। বেশির ভাগ মন্তব্য ছিল দুই ভাইবোনকে অভিনন্দন জানানো।

কিন্তু নাসির অবাক হয়ে লক্ষ করলেন কিছু মন্তব্য ছাড়িয়ে গেল ভব্যতার সীমা, রুচির গণ্ডি। মন্তব্যগুলো এতটাই কুরুচিপূর্ণ, লজ্জায়-দুঃখে-ক্ষোভে নাসির নিজের পোস্টটাই সরিয়ে নেন ফেসবুক থেকে। এরপর আরও একটি পোস্টে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়ে দেন, ‘অনেক হয়েছে, আমাকে আর অনুসরণ করার দরকার নেই।’

নাসিরের এ ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ফেসবুকের ফ্যান পেজ সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সতীর্থের এই অবমাননায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন অন্যরাও। গত মাসে ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যে আক্রমণ করা হয়েছিল লিটন দাসকেও। বেশ কয়বার বাজে মন্তব্যের শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিক রহিমও।

গত ঈদুল আজহায় মুশফিকের পোস্ট করা এক ছবি নিয়ে সে কী আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। মুশফিক শেষ পর্যন্ত ছবিটা সরিয়ে নিয়েছিলেন। সর্বশেষ মুশফিককে আক্রমণ করা হলো প্রোফাইল ছবি ফ্রান্সের পতাকায় রাঙানো নিয়ে। শুক্রবার প্যারিসে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে ফেসবুকে অনেকেই নিজের প্রোফাইল পিকচার মুড়েছিলেন ফ্রান্সের পতাকায়। মুশফিকও কেন এটা করলেন—পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

শেষ পর্যন্ত টেস্ট অধিনায়ক সরিয়েই ফেলেছেন সেটি। অথচ মুশফিক পোস্ট করেছিলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবাননের জন্যও। এ বছর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বরাবরই মানবতার ব্যাপারে সোচ্চার। দক্ষিণ সিরিজ চলার সময় শিশু রাজন হত্যাকাণ্ডের পরই প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। ফেসবুকে নিজের অফিশিয়াল পেজে লিখেছিলেন, ‘একটি নিষ্পাপ শিশুকে নির্যাতন করে মেরে ফেলার মতো বড় অপরাধ মনে হয় আর নেই। শিশু নির্যাতনকে না বলুন’।

তির্যক মন্তব্য তো বটেই, তারকাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয় প্রচুর ভুয়া অ্যাকাউন্ট নিয়েও। এমনও শোনা গেছে, তারকাদের নাম ভাঙিয়ে অনেকে প্রতারণা পর্যন্ত করছে! যাঁরা দেশের পতাকা উঁচিয়ে ধরছেন বিশ্বমঞ্চে, এমন বাজে অভিজ্ঞতা কি তাঁদের প্রাপ্য? তারকারাও মানুষ। তাঁদের অনেক ব্যাপারেই হয়তো একমত হওয়া কঠিন; তাই বলেবাজে ভাষায় আক্রমণ কতটা যৌক্তিক?

এ সমস্যা সমাধানের উপায় কী? বলবেন, সাইবার-অপরাধ আইন তো আছেই। আইন দিয়ে হয়তো অপরাধীর সাজা মিলবে। কিন্তু মানসিকতার পরিবর্তন কি হবে? মনটাকে পরিষ্কার করা যে খুব জরুরি।
ফেসবুক যখন মুশফিক-তামিমদের যন্ত্রণা!ফেসবুক যখন মুশফিক-তামিমদের যন্ত্রণা! ফেসবুক যখন মুশফিক-তামিমদের যন্ত্রণা!ফেসবুক যখন মুশফিক-তামিমদের যন্ত্রণা! Reviewed by Ab Mamun on November 18, 2015 Rating: 5

No comments

আপনার একটি মন্তব্য একজন লেখক/লেখিকা কে ভালো কিছু লিখার অনুপ্ররেনা যোগায় তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত জানাতে ভুলবেন না । তবে ভাই ও বন্ধুরা এমন কোন মন্তব্য পোস্ট করবেন না যার ফলে লেখক/লেখিকার মনে আঘাত করে ! কারণ একটি ভাল মন্তব্য আমাদের কে আরও ভাল কিছু লিখার অনুপ্রেরনা যোগাতে সাহায্য করে থাকে !!
ধন্যবাদ সবাইকে সাথে থাকার জন্য। । ।

Creator

About Me
Munere veritus fierent cu sed, congue altera mea te, ex clita eripuit evertitur duo. Legendos tractatos honestatis ad mel. Legendos tractatos honestatis ad mel. , click here →