স্মার্টফোনের কিছু ক্ষতিকর প্রভাব এর বিস্তারিত আলোচনা।।
এটা বন্ধ করা কঠিন কিন্তু স্মার্টফোনের স্ক্রিনের দিকে রাতের বেলা তাকিয়ে থাকা খুব একটা ভালো আইডিয়া নয়।
স্মার্ট ফোনের ডিসপ্লে থেকে উজ্জ্বল নীল আলো নির্গত হয় যাতে করে এর বিষয়বস্তু সূর্যের আলোতেও স্পষ্ট দেখা যায়।
এই আলো মস্তিষ্কে মেলাটোনিন উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। মেলাটোনিন এমন একটি হরমোন যা আপনার শরীরকে নিদ্রা বা ঘুমের
সংকেত দেয় যে “এখন ঘুমাতে হবে”। স্মার্টফোনের উজ্জ্বল স্ক্রিনের দিকে অধিক
সময় চেয়ে থাকলে আপনার নিদ্রা চক্র ব্যহত হয় যা কিনা আপনার শরীরের জন্য মারাত্নক ক্ষতির কারণ।
নিম্নে স্মার্টফোনের নীল রশ্মির কিছু খারাপ প্রভাব সম্পর্কিত তথ্য দেয়া হলঃ
১। রাতে ঘুমানো আগে ফোনে চ্যাটিং কিংবা ইন্টারনেট ব্রাউজিং করলে ঘুমে ব্যঘাত হয়, যা পরবর্তী দিন মস্তিষ্কের স্মৃতির অংশে ক্ষতি সাধন করে।
২। দিনের পর দিন স্মার্টফোনের ব্লু-লাইট আপনার চোখের রেটিনার ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
৩। যারা পড়াশুনা করেন তাদের জন্য অসম্পূর্ণ ঘুম অমনোযোগিতার কারন হয়ে দাঁড়ায়।
৪। দীর্ঘ কাল যাবত অপর্যাপ্ত ঘুম নিউরোটক্সিন তৈরি করে যা পরবর্তীতে নিদ্রাহীনতার কারণ হয়।
৫। রাতের বেলা লাইট এক্সপোজার এর কারনে ঘুম বাধা প্রাপ্ত হলে তা স্তন এবং মূত্রথলির ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
৬। যাদের মেলাটোনিন লেভেল নিরুদ্ধ থাকে তারা হতাশায় ভোগেন।
৭। মেলাটোনিন বাধা প্রাপ্ত হওয়া, ঘুম না হওয়া, তথা স্মার্টফোনের নীল রশ্মি ক্ষুধা সংক্রান্ত হরমোনেও সমস্যা সৃষ্টি করে যা আবার স্থূলতার কারণও হতে পারে
উপদেশঃ
সুতরাং রাতে ঘুমানোর আগে রুমের লাইট বন্ধ করে মোবাইলে চ্যাটিং, ফেসবুক কিংবা অন্য কোনো সাইট ব্রাউজ করার ব্যাপারে আরেকবার ভেবে দেখুন!
স্মার্টফোনের কিছু ক্ষতিকর প্রভাব এর বিস্তারিত আলোচনা।।
Reviewed by Ab Mamun
on
July 02, 2017
Rating:

No comments
আপনার একটি মন্তব্য একজন লেখক/লেখিকা কে ভালো কিছু লিখার অনুপ্ররেনা যোগায় তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত জানাতে ভুলবেন না । তবে ভাই ও বন্ধুরা এমন কোন মন্তব্য পোস্ট করবেন না যার ফলে লেখক/লেখিকার মনে আঘাত করে ! কারণ একটি ভাল মন্তব্য আমাদের কে আরও ভাল কিছু লিখার অনুপ্রেরনা যোগাতে সাহায্য করে থাকে !!
ধন্যবাদ সবাইকে সাথে থাকার জন্য। । ।